![](https://i.ytimg.com/vi/10wIck9wjro/hqdefault.jpg)
বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEis-YCR-5ruZDpJHuOU0pa-vFIH6b344V69TTKWDB4_Xo0nlppq38mmP0MtYp01znviLgc4bc8Vfe_iINIJEs67T4CD80uYMI5w0ZrKUTIJwCnbOtf3WsUqQSZvZt7c9U7kFxr6UfAojNgU/s640/%25E0%25A6%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE.jpg)
গাজীপুরে ৫শ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার পৌর কাউন্সিলর!!
গাজীপুরে ৫শ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার পৌর কাউন্সিলর!!
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন, তার কথিত স্ত্রীসহ তিনজনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
বুধবার ভোরে গাজীপুরের বাইমাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বাউয়ারা কুমারজানি এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন (৪২), তার কথিত স্ত্রী শ্যামলী (২৭) এবং প্রাইভেটকার চালক মিনহাজ উদ্দিন (৪০)।
কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফাঁড়ির সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) শাহিন ও রফিককে নিয়ে জয়দেবপুর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইমাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় মির্জাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন তার কথিত স্ত্রী শ্যামলী আক্তার ও চালক মিনহাজ প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৩০৭০) নিয়ে গাজীপুর থেকে মির্জাপুর আসছিলেন। রাত ৩টার দিকে পুলিশ প্রাইভেটকারটি সিগন্যাল দিয়ে থামান।
এসময় প্রাইভেটকারে থাকা শ্যামলী আক্তারকে স্ত্রী পরিচয় দিলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ প্রাইভেটকারটি তল্লাশি চালিয়ে ৫শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এবং কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপনসহ তাদের আটক করে জয়দেবপুর থানায় নিয়ে যান।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান নতুন সময়কে বলেন, মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপনসহ তিনজনকে ৫শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার এবং একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানা মাদক আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
আটক শহিদুর রহমান শিপন নিজেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
নিউজ - natunsomoy
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন, তার কথিত স্ত্রীসহ তিনজনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
বুধবার ভোরে গাজীপুরের বাইমাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বাউয়ারা কুমারজানি এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন (৪২), তার কথিত স্ত্রী শ্যামলী (২৭) এবং প্রাইভেটকার চালক মিনহাজ উদ্দিন (৪০)।
কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফাঁড়ির সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) শাহিন ও রফিককে নিয়ে জয়দেবপুর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইমাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় মির্জাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপন তার কথিত স্ত্রী শ্যামলী আক্তার ও চালক মিনহাজ প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৩০৭০) নিয়ে গাজীপুর থেকে মির্জাপুর আসছিলেন। রাত ৩টার দিকে পুলিশ প্রাইভেটকারটি সিগন্যাল দিয়ে থামান।
এসময় প্রাইভেটকারে থাকা শ্যামলী আক্তারকে স্ত্রী পরিচয় দিলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ প্রাইভেটকারটি তল্লাশি চালিয়ে ৫শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এবং কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপনসহ তাদের আটক করে জয়দেবপুর থানায় নিয়ে যান।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান নতুন সময়কে বলেন, মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপনসহ তিনজনকে ৫শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার এবং একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানা মাদক আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
আটক শহিদুর রহমান শিপন নিজেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
নিউজ - natunsomoy
সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgszAQ42xT0CWpxmfZmFjpUoR_C8B8yKewPKeNETCaY7xxAzDl7uesovpyXNDzJhqUjX37LpGEZQJX6CzB8PKbdOg6P3T038FT5OqvWlbdGgafef_TSdl7B_3URTOVP2b8PEGTVFmgpcWAI/s640/%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%259F%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580.jpg)
গাজীপুরে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের গ্রীল কেটে দলিল জালিয়াতি ও লুট!
গাজীপুরে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের গ্রীল কেটে দলিল জালিয়াতি ও লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।
গাজীপুরের সাব-রেজেষ্ট্রি অফিসের দলিলের ভলিউম কপি রাখার রেকর্ড রুমের গ্রীল ও স্টীলের নেট কেটে দুর্বৃত্তরা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জালিয়াতি ও সরিয়ে নিয়েছে।
রেকর্ড রুমে কর্মরতদের সহায়তায় দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কর্মচারীকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে স্পর্শকাতর এ রেকর্ড রুমের গ্রীল কাটার ঘটনায় সোমবার জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। গাজীপুর সদর সাব রেজেষ্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মো. আব্দুর রব বলেন, রবিবার বিকেল ৪টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ছায়াবিথী এলাকার সিনা হাসপাতালের পাঁচ তলায় রেকর্ড রুমের নেট, গ্রীল ও স্টীলের নেট কাটা এবং হালকা ভাবে লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় রেকর্ড সহকারী আব্দুল মজিদ। খবর পেয়ে গাজীপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিদর্শন করেন। এঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। গাজীপুর সদরের সাব-রেজিষ্ট্রার মো. মুজাহিদুল প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ায় অন্য কর্মকর্তা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল রবিবার ও সোমবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গাজীপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল জানান, পাঁচ তলার ওই রেকর্ড রুমটি জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের ভিতরে অবস্থিত। দলিলের এ রেকর্ডরুমে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে। এটি জনগণের সম্পত্তি। ওই রেকর্ডরুমে যেতে হলে কলাপসিবল গেইটের তালা খুলে যেতে হয়। আর এ গেইটের চাবি নাইট গার্ডের কাছে গচ্ছিত থাকে। কিন্তু ওই ঘটনায় রেকর্ডরুমের গ্রীল ও স্টীলের নেট দুর্বৃত্তরা কেটে ফেললেও কলাপসিবল গেইটের তালা অক্ষত রয়েছে। দলিলের রেকর্ডরুম জনগণের সম্পত্তি, এখানে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। রেকর্ডরুমের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ছাড়া এখানে বাইরের কেউ এসে কিছুই বুঝবে না। ওই রুমে প্রায় দুই লক্ষাধিক ভলিউম রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে কোন দলিলের ভলিউম চুরি অথবা জালিয়াতি করেছে কি-না তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয়। রেকর্ড রুমের কর্মরতদের সহায়তায় কোন দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাইটগার্ড কাওসারকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিউজ - গাজীপুর অনলাইন
রেকর্ড রুমে কর্মরতদের সহায়তায় দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কর্মচারীকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে স্পর্শকাতর এ রেকর্ড রুমের গ্রীল কাটার ঘটনায় সোমবার জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। গাজীপুর সদর সাব রেজেষ্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মো. আব্দুর রব বলেন, রবিবার বিকেল ৪টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ছায়াবিথী এলাকার সিনা হাসপাতালের পাঁচ তলায় রেকর্ড রুমের নেট, গ্রীল ও স্টীলের নেট কাটা এবং হালকা ভাবে লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় রেকর্ড সহকারী আব্দুল মজিদ। খবর পেয়ে গাজীপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিদর্শন করেন। এঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। গাজীপুর সদরের সাব-রেজিষ্ট্রার মো. মুজাহিদুল প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ায় অন্য কর্মকর্তা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল রবিবার ও সোমবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গাজীপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল জানান, পাঁচ তলার ওই রেকর্ড রুমটি জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের ভিতরে অবস্থিত। দলিলের এ রেকর্ডরুমে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে। এটি জনগণের সম্পত্তি। ওই রেকর্ডরুমে যেতে হলে কলাপসিবল গেইটের তালা খুলে যেতে হয়। আর এ গেইটের চাবি নাইট গার্ডের কাছে গচ্ছিত থাকে। কিন্তু ওই ঘটনায় রেকর্ডরুমের গ্রীল ও স্টীলের নেট দুর্বৃত্তরা কেটে ফেললেও কলাপসিবল গেইটের তালা অক্ষত রয়েছে। দলিলের রেকর্ডরুম জনগণের সম্পত্তি, এখানে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। রেকর্ডরুমের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ছাড়া এখানে বাইরের কেউ এসে কিছুই বুঝবে না। ওই রুমে প্রায় দুই লক্ষাধিক ভলিউম রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে কোন দলিলের ভলিউম চুরি অথবা জালিয়াতি করেছে কি-না তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয়। রেকর্ড রুমের কর্মরতদের সহায়তায় কোন দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাইটগার্ড কাওসারকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিউজ - গাজীপুর অনলাইন
বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEglNcL5f4zGt_Ws0zfDdMgqRNavheCTCktLNqFjryF2ZmjXP2k_PGESpgIN_5pzqw9vXIvHVUa6rID7OyhZl62r0oA6Qk3vWd2y9DuN2Yo_NCvzggNYvfQcSWASC6B4ESz0crw7VweyVljC/s640/ahsanullah%252Bmaster.jpg)
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার দায়ে ৬ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল।!
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার দায়ে ৬ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল। খালাস পাওয়া আসামিদের বিষয়ে আপিল করবে পরিবার
ঢাকা, ১৫ জুন ২০১৬ এক যুগ আগে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শ্রমিকনেতা গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার দায়ে ৬ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছে আজ হাইকোর্ট।
মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিলের উপর শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। গত বুধবার ৮ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলো। আজ জনাকীর্ণ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের শুরুতে কিছু অবজারভেশন দেয় বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর রায়ের অপারেটিভ অংশ পড়ে শুনান অপর বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। এর মধ্য দিয়ে এক যুগ আগে ঘটে যাওয়া নৃংশস এই হত্যাকান্ডের বিচার হাইকোর্টে শেষ হলো।
রায়ে আসামীদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল, ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১১ জন খালাস পেয়েছে। এছাড়া দুজন বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিস্পত্তি করে দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অপর একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত কোনো রায় দেয়নি।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড নি:সন্দেহে একটি জঘন্যতম ঘটনা। এ হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তয়ানে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা উপলদ্ধি করা যায়। এ ঘটনাটি একটি ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। আহসান উল্লাহ মাস্টার বেচেঁ থাকলে জনগণের কল্যাণে আরো অবদান রাখতে পারতেন। দন্ডিতরা তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতিকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। তার মতো আদর্শবান নেতার এখন বড়ই অভাব ।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ২২ আসামির মধ্যে হাইকোর্টে মৃত্যুদন্ড থাকা ছয় আসামি হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ এবং সোহাগ ওরফে সরু।
মৃত্যুদন্ড থেকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর (পিতা আবুল কাশেম), রতন মিয়া ওরফে বড় রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম ও সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, মশিউর রহমান মশু। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ড থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর (পিতা নূর হোসেন), ফয়সাল, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন ও দুলাল মিয়া। বিচারকি আদালতে দেয়া আসামি নুরুল আমিনের যাবজ্জীবন হাইকোর্টেও বহাল রয়েছে। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া আসামি হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু সরকার, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।
বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি ওহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক) হাইকোর্টে আপিল করেননি। ফলে তার বিষয়ে কোন আদেশ দেয়নি আদালত। আইনজীবীরা জানান এ আসামির দন্ড বহাল রয়েছে।
সাজা ও খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে, বাকি ৯ জন পলাতক রয়েছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে খালাসপ্রাপ্ত যারা কারাগারে আছেন, তাদেরকে মুক্তি দিতে বলেছে আদালত।
গত ১৪ জানুয়ারি থেকে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল আবেদনের উপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে গত বুধবার ৮জুন তা শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মনজু নাজনিন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার আমীর-উল ইসলাম, আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ সাজোয়ার হোসন। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, টি এইচ খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ অলী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কয়েকজন আইনজীবী।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভা চলাকালে একদল সন্ত্রসী নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরো খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন। এ ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেয়।
মামলায় উভয়পক্ষে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৩০ আসামির মধ্যে গাজীপুর জেলার বিএনপি নেতা ও ওই সময় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া খালাস পায় অন্য দুই আসামি।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর ২২ আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য ২০০৫ সালে হাইকোর্টে আসে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। মামলার তথ্য অনুসারে, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার পরিকল্পনার দায়ে বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুদন্ড হয়। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অন্য আরো ২১ আসামি হলেন- নুরুল ইসলাম দিপু, মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, আমির হোসেন, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, ফয়সাল, সোহাগ ওরফে সরু, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, আল আমিন, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির,জাহাঙ্গীর, রতন ওরফে ছোট রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম, মশিউর রহমান ওরফে মনু, খোকন, দুলাল মিয়া।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ছয় আসামি হলেন-রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু সরকার, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর, নুরুল আমিন, মনির ও অহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক)। রায়ে খালাস পায় কবির হোসেন ও আবু হায়দার ওরফে মিরপুরইয়া বাবু।
মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্র জানায়, মৃত্যুদন্ড পাওয়া ২২ আসামির মধ্যে আট আসামি পলাতক ও দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। পলাতক আটজন হলেন-নুরুল ইসলাম দিপু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, মরকুনের জাহাঙ্গীর, মশিউর রহমান ওরফে মশু ও খোকন। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে এক আসামি অহিদুল ইসলাম টিপুও পলাতক। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছোট রতন ও আল আমিন মৃত্যুবরণ করেন।
আজ হাইকোর্টে রায় ঘোষণা কালে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ আদালত অঙ্গণে গাজীপুর এলাকার কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।এদিকে খালাস পাওয়া আসামিদের বিষয়ে আপিল করবেন বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল।
স্থানীয়ভাবে শ্রমজীবী মানুষের কাছে জনপ্রিয় এ নেতা যুবক বয়সেই ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দু’বার তার ইউনিয়ন পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গাজীপুর২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিলের উপর শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। গত বুধবার ৮ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলো। আজ জনাকীর্ণ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের শুরুতে কিছু অবজারভেশন দেয় বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর রায়ের অপারেটিভ অংশ পড়ে শুনান অপর বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। এর মধ্য দিয়ে এক যুগ আগে ঘটে যাওয়া নৃংশস এই হত্যাকান্ডের বিচার হাইকোর্টে শেষ হলো।
রায়ে আসামীদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল, ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১১ জন খালাস পেয়েছে। এছাড়া দুজন বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিস্পত্তি করে দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অপর একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত কোনো রায় দেয়নি।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড নি:সন্দেহে একটি জঘন্যতম ঘটনা। এ হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তয়ানে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা উপলদ্ধি করা যায়। এ ঘটনাটি একটি ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। আহসান উল্লাহ মাস্টার বেচেঁ থাকলে জনগণের কল্যাণে আরো অবদান রাখতে পারতেন। দন্ডিতরা তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতিকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। তার মতো আদর্শবান নেতার এখন বড়ই অভাব ।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ২২ আসামির মধ্যে হাইকোর্টে মৃত্যুদন্ড থাকা ছয় আসামি হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ এবং সোহাগ ওরফে সরু।
মৃত্যুদন্ড থেকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর (পিতা আবুল কাশেম), রতন মিয়া ওরফে বড় রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম ও সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, মশিউর রহমান মশু। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ড থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর (পিতা নূর হোসেন), ফয়সাল, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন ও দুলাল মিয়া। বিচারকি আদালতে দেয়া আসামি নুরুল আমিনের যাবজ্জীবন হাইকোর্টেও বহাল রয়েছে। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া আসামি হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু সরকার, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।
বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি ওহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক) হাইকোর্টে আপিল করেননি। ফলে তার বিষয়ে কোন আদেশ দেয়নি আদালত। আইনজীবীরা জানান এ আসামির দন্ড বহাল রয়েছে।
সাজা ও খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে, বাকি ৯ জন পলাতক রয়েছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে খালাসপ্রাপ্ত যারা কারাগারে আছেন, তাদেরকে মুক্তি দিতে বলেছে আদালত।
গত ১৪ জানুয়ারি থেকে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল আবেদনের উপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে গত বুধবার ৮জুন তা শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মনজু নাজনিন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার আমীর-উল ইসলাম, আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ সাজোয়ার হোসন। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, টি এইচ খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ অলী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কয়েকজন আইনজীবী।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভা চলাকালে একদল সন্ত্রসী নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরো খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন। এ ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেয়।
মামলায় উভয়পক্ষে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৩০ আসামির মধ্যে গাজীপুর জেলার বিএনপি নেতা ও ওই সময় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া খালাস পায় অন্য দুই আসামি।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর ২২ আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য ২০০৫ সালে হাইকোর্টে আসে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। মামলার তথ্য অনুসারে, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার পরিকল্পনার দায়ে বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুদন্ড হয়। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অন্য আরো ২১ আসামি হলেন- নুরুল ইসলাম দিপু, মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, আমির হোসেন, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, ফয়সাল, সোহাগ ওরফে সরু, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, আল আমিন, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির,জাহাঙ্গীর, রতন ওরফে ছোট রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম, মশিউর রহমান ওরফে মনু, খোকন, দুলাল মিয়া।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ছয় আসামি হলেন-রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু সরকার, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর, নুরুল আমিন, মনির ও অহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক)। রায়ে খালাস পায় কবির হোসেন ও আবু হায়দার ওরফে মিরপুরইয়া বাবু।
মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্র জানায়, মৃত্যুদন্ড পাওয়া ২২ আসামির মধ্যে আট আসামি পলাতক ও দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। পলাতক আটজন হলেন-নুরুল ইসলাম দিপু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, মরকুনের জাহাঙ্গীর, মশিউর রহমান ওরফে মশু ও খোকন। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে এক আসামি অহিদুল ইসলাম টিপুও পলাতক। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছোট রতন ও আল আমিন মৃত্যুবরণ করেন।
আজ হাইকোর্টে রায় ঘোষণা কালে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ আদালত অঙ্গণে গাজীপুর এলাকার কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।এদিকে খালাস পাওয়া আসামিদের বিষয়ে আপিল করবেন বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল।
স্থানীয়ভাবে শ্রমজীবী মানুষের কাছে জনপ্রিয় এ নেতা যুবক বয়সেই ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দু’বার তার ইউনিয়ন পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গাজীপুর২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEij8zCylOVOzoRSNm6naFbKWyW4OkmG5xBSglRcu00iXMy3EawO_zhz85q4l_twGXlYf0X6065qhZOljWGQDJMyBmdIYrNmVGd1EmHWSNRAohQJ4nDI0m8ZE0MRvnEy-TT7pdaIiNPUrQpK/s640/%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0.jpg)
গাজীপুরের ৪টি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল!!
গাজীপুরের ৪ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল!!
সাংগঠনিক গতি বৃদ্ধির জন্য গাজীপুর জেলার ৪টি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল ১৩/০৬/২০১৬ইং সোমবার রাতে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা গুলি হল, গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালিগঞ্জ।
মূল পোষ্ট - Adhar Sarkar
উপজেলা গুলি হল, গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালিগঞ্জ।
মূল পোষ্ট - Adhar Sarkar
শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiZkjvDAE29gBrZf4zRJvapWRUsbpI6C-rC09ssP2NkVS-A3Cy9-o7Y8ziEzUJLLCxmGXXI3ppugZ83AOzhhGWTkg7CXf7P3ng-8mGsh10mih_acZqTd46qVrVQYCrpHbg2XpaqQyLubzqo/s640/Dhakgor.jpg)
বৃষ্টি হলেই গাজীপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে জলাবদ্ধতা!!
বৃষ্টি হলেই গাজীপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে জলাবদ্ধতা!!
অল্প বৃষ্টিতেই জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র গাজীপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পানি জমে শহরের রাজবাড়ি সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীদের। গত কয়েক বছর যাবৎ বৃষ্টি হলেই এখানে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর রাজবাড়ি সড়কের রেল গেইট থেকে এসপি অফিস পর্যন্ত ২শ মিটার সড়ক বছরের বেশীর ভাগ সময়ই থাকে খানাখন্দে ভরা। ১শ মিটারের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনে প্রবেশের দুইটি গেইট। সিটি কর্পোরেশনের প্রায় সকল কর্মকর্তারাই চলাচল করেন এখান দিয়ে। এই অল্প রাস্তাটুকুর জন্য জনগনের দুর্ভোগ লাগবে স্থায়ি সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ নাগরিকদের। ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান গাজীপুর দর্পণকে জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর ভারি বৃষ্টি হলে রাস্তার পানি দোকানে উঠে। পত্রিকা স্টলের মালিক(হকার) হারুন জানান, বৃষ্টির পানি জমে থাকলে মানুষের চলাচলের অসুবিধা হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলহাজ্ব মো: আসাদুর রহমান কিরন গাজীপুর দর্পণকে জানান, ড্রেন দিয়ে দ্রুত পানি সরছেনা, এতে করে পানি জমে থাকে। স্থায়ি সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে- ৪/৫ মাস সময় লাগবে।
নিউজ -
মঞ্জুর হোসেন মিলন GazipurDarpon
অল্প বৃষ্টিতেই জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র গাজীপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পানি জমে শহরের রাজবাড়ি সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীদের। গত কয়েক বছর যাবৎ বৃষ্টি হলেই এখানে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর রাজবাড়ি সড়কের রেল গেইট থেকে এসপি অফিস পর্যন্ত ২শ মিটার সড়ক বছরের বেশীর ভাগ সময়ই থাকে খানাখন্দে ভরা। ১শ মিটারের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনে প্রবেশের দুইটি গেইট। সিটি কর্পোরেশনের প্রায় সকল কর্মকর্তারাই চলাচল করেন এখান দিয়ে। এই অল্প রাস্তাটুকুর জন্য জনগনের দুর্ভোগ লাগবে স্থায়ি সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ নাগরিকদের। ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান গাজীপুর দর্পণকে জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর ভারি বৃষ্টি হলে রাস্তার পানি দোকানে উঠে। পত্রিকা স্টলের মালিক(হকার) হারুন জানান, বৃষ্টির পানি জমে থাকলে মানুষের চলাচলের অসুবিধা হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলহাজ্ব মো: আসাদুর রহমান কিরন গাজীপুর দর্পণকে জানান, ড্রেন দিয়ে দ্রুত পানি সরছেনা, এতে করে পানি জমে থাকে। স্থায়ি সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে- ৪/৫ মাস সময় লাগবে।
নিউজ -
মঞ্জুর হোসেন মিলন GazipurDarpon
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjFokAm0S827GMEFaFTmfBFFaUaicubdl28MPxuTw1Aa7RJpRawQ4dt7K_6Sa0hAzhaScj5cT4s9U38IEv3lwepN9_0-LhME9CIqJnXOb38gfq56tZXo5eIVLPhbKM9NPvbmR-El2dzXaTC/s640/Shisho.jpg)
গাজীপুরে বাড়ছে শিশুশ্রম, প্রতিরোধে নেই কোন সরকারি উদ্যোগ!!
গাজীপুরে বাড়ছে শিশুশ্রম, প্রতিরোধে নেই কোন সরকারি উদ্যোগ!!
গাজীপুরে উদ্বেগ জনকভাবে বাড়ছে নিষিদ্ধ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম। ২০১৬ সালে শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের অঙ্গিকার থাকলেও গাজীপুর জেলায় এ কাজের কোনো অগ্রগতি বা তৎপরতা নেই।
সরকারী ভাবে নেই কোনো সচেতনতা মূলক কার্যক্রম। বস্তিবাসির শিশু সন্তান কিংবা নিন্ম আয়ের পরিবারের বাবা-মা’র দারিদ্রতার পাশাপাশি অসচেতনতায় শিশুরাই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করে আসছে সহাস্রাধিক অবৈধ লেগুনা। গাজীপুর জেলায় প্রায় ৮শতাধিক শিশু লেগুনায় চালকের সহকারী(হেলপার)।
গাজীপুর দর্পণ পত্রিকার অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, লেগুনায় নিষিদ্ধ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে প্রায় ৮শতাধিক শিশু শ্রমিক। ১০ জুন শুক্রবার এ প্রতিবেদক জয়দেবপুর চৌরাস্তায় বিভিন্ন লেগুনা স্ট্যান্ডে অবস্থান কালে এমন চিত্রই দেখা যায়। অনেক লেগুনার চালকরা কিশোর আর হেলপার শিশু। গাজীপুরে পরিবহনের প্রাণ কেন্দ্র জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচল করে এসব লেগুনা। অহরহই চোঁখে পড়ছে, যেসব শিশু স্কুলে যাওয়ার কথা তারা ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজ করছে।
গাজীপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দীন জানান, শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় শিশু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেসরকারি সংগঠন(এনজিও) বিল্ডিং রেজিলিয়েন্স অব দ্য আরবান পুওর (বিআরইউপি) প্রকল্প গাজীপুরে স্বল্প পরিসরে শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। এ প্রকল্পের ম্যানেজার মো: কামরুল হাসান গাজীপুর দর্পণকে জানান, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু কমিউনিটি নিয়ে কাজ করছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা গেছে দারিদ্রতা ও পরিবারের অসচেতনতায় প্রায় অর্ধেক শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। এসকল শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিছুদিন পর তারা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে সমাজে অপরাধ করছে। একজন লেগুনা শ্রমিক নেতা জানান, গাজীপুর জেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১ হাজারের বেশী লেগুনা চলে। লেগুনা চালকের সহকারী( হেলপার) শিশু এর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, শিশুদেরকে কম টাকায় রাখা যায় এবং তারা ইনকাম চুরি করেনা। তাই শতকরা ৮০ভাগ হেলপারই শিশু।
নিউজ
মঞ্জুর হোসেন মিলন - gazipurdarpon.com
গাজীপুরে উদ্বেগ জনকভাবে বাড়ছে নিষিদ্ধ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম। ২০১৬ সালে শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের অঙ্গিকার থাকলেও গাজীপুর জেলায় এ কাজের কোনো অগ্রগতি বা তৎপরতা নেই।
সরকারী ভাবে নেই কোনো সচেতনতা মূলক কার্যক্রম। বস্তিবাসির শিশু সন্তান কিংবা নিন্ম আয়ের পরিবারের বাবা-মা’র দারিদ্রতার পাশাপাশি অসচেতনতায় শিশুরাই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করে আসছে সহাস্রাধিক অবৈধ লেগুনা। গাজীপুর জেলায় প্রায় ৮শতাধিক শিশু লেগুনায় চালকের সহকারী(হেলপার)।
গাজীপুর দর্পণ পত্রিকার অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, লেগুনায় নিষিদ্ধ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে প্রায় ৮শতাধিক শিশু শ্রমিক। ১০ জুন শুক্রবার এ প্রতিবেদক জয়দেবপুর চৌরাস্তায় বিভিন্ন লেগুনা স্ট্যান্ডে অবস্থান কালে এমন চিত্রই দেখা যায়। অনেক লেগুনার চালকরা কিশোর আর হেলপার শিশু। গাজীপুরে পরিবহনের প্রাণ কেন্দ্র জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচল করে এসব লেগুনা। অহরহই চোঁখে পড়ছে, যেসব শিশু স্কুলে যাওয়ার কথা তারা ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজ করছে।
গাজীপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দীন জানান, শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় শিশু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেসরকারি সংগঠন(এনজিও) বিল্ডিং রেজিলিয়েন্স অব দ্য আরবান পুওর (বিআরইউপি) প্রকল্প গাজীপুরে স্বল্প পরিসরে শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। এ প্রকল্পের ম্যানেজার মো: কামরুল হাসান গাজীপুর দর্পণকে জানান, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু কমিউনিটি নিয়ে কাজ করছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা গেছে দারিদ্রতা ও পরিবারের অসচেতনতায় প্রায় অর্ধেক শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। এসকল শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিছুদিন পর তারা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে সমাজে অপরাধ করছে। একজন লেগুনা শ্রমিক নেতা জানান, গাজীপুর জেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১ হাজারের বেশী লেগুনা চলে। লেগুনা চালকের সহকারী( হেলপার) শিশু এর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, শিশুদেরকে কম টাকায় রাখা যায় এবং তারা ইনকাম চুরি করেনা। তাই শতকরা ৮০ভাগ হেলপারই শিশু।
নিউজ
মঞ্জুর হোসেন মিলন - gazipurdarpon.com
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)